সু চির আরেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী আটক

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির আরেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী কিয়াও টিন্ট সোয়েকে আটক করেছে সামরিক জান্তা।

কিয়াও টিন্ট সোয়ে সু চির দপ্তরে স্টেট কাউন্সিলরের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

তাকে সু চির ডানহাতও বলা হয়ে থাকে।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) এক কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।

প্রসঙ্গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী৷ ক্ষমতাসীন দলের নেতা অং সান সু চিসহ দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও বন্দি করা হয়।  

সেনাবাহিনীর দাবি, নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে এবং তারা নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার পর ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবে।

ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির তথ্য বিষয়ক কমিটির সদস্য কি তোয়ে জানান, বুধবার রাতে কিয়াও টিন্টসহ চার জনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকেও আটক করা হয়েছে।

তবে, এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক জান্তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  

গত ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল নিরঙ্কুশ জয় পায়। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পেয়েছিল ৩৪৬টি আসন। এনএলডি নিরঙ্কশ জয় পেলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। যদিও ইউএসডিপি ৭১টি আসনে জয় পেয়েছে।

এদিকে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় মিয়ানমারের জেনারেলদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে নির্বাহী আদেশে অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, তাদের পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

READ  Il rapporto afferma che i funzionari dell'immigrazione stanno ritirando le loro operazioni mentre il fratello del presidente Rajapaksa cerca di lasciare SL

Lascia un commento

Il tuo indirizzo email non sarà pubblicato. I campi obbligatori sono contrassegnati *